এআই কতটা ভয়ংকর?

এআই কতটা ভয়ংকর?

আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আসা করি ভালো আছেন। আজকে আমরা কথা বলব আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স নিয়ে। সম্প্রতি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে যেই পরিমাণ চর্চা চলছে তাতে এমন কাউকে খুজে পাওয়া মুশকিল যে, এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স শব্দ গুলোর সাথে পরিচিত নয়। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে অনেকের মধ্যে পজিটিভ ধারণা থাকলেও বিপুল পরিমাণ মানুষের ধারণা নেগেটিভ। আমি চাইলেও আপনার ধারণা বদলাতে পারব না। কিন্তু আমার ধারণা শেয়ার করতে পারব। 

সহজ ভাবে বলতে গেলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হল এমন একটি মেশিন বা কৌশল যা মানুষের মত বুঝতে ও ভাবতে পারে। যদি আরো একটু ভালোভাবে বলি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হল “এমন একটি সিস্টেম যার মাধ্যমে মানুষের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করে উন্নত থেকে উন্নত পরিসরে নেওয়া সম্ভব।” আর্টিফিশিয়াল অর্থ হচ্ছে কৃত্তিম এবং ইন্টেলিজেন্স অর্থ হচ্ছে বুদ্ধিমত্তা। একত্রে বলতে গেলে বাংলায় যাকে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বলে ইংরেজিতে তাকেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংক্ষেপে এআই বলে।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হতে পারে একটি রোবোট, কারখানার স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বা কোন সফটওয়ার। বর্তমানে রোগ নির্নয় থেকে ঔষধ তৈরী, খেলনা থেকে সয়ংচালিত গাড়ি, বিনোদন থেকে শেয়ার বাজার, এমনকি পড়াশোনার কাজেও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ এআই ব্যবহৃত হচ্ছে। 

কম্পিউটার বা স্মার্ট যন্ত্র গুলো অনেক বড় বড় সমস্যার সমাধান করতে পারে তবে তাকে ধাপে ধাপে নির্দেশনা দিতে হয়। তাকে নির্দেশনা না দেওয়া হলে সে কেবল একটি বোকা বক্স মাত্র। আর এখান থেকেই জন্ম নেয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ স্মার্ট যন্ত্র গুলোর নিজে থেকে সমস্যা সমাধান করার জার্নি। 

মূলত চ্যাট জিপিটির কারণে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সর এত চর্চা।  চ্যাট জিপিটি আসার পরই মানুষের উদ্যেগের শেষ নেই। এই এআই প্রায় সকল প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারে। গান, কবিতা, গল্প এমনকি দরখাস্থ, রচনা সহ সবই লিখতে পারে। প্রযুক্তি গবেষকদের ধারণা এখনি এর ইতি না টানতে পারলে একসময় এই এআই সমাজ ও মানব জাতির জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

চ্যাট জিপিটি বা এআই ব্যবহার করে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের নির্ভুল উত্তর তৈরি করা সম্ভব। যাতে মানবজাতি শিক্ষিত করে তোলা কঠিন হয়ে পরবে। শিক্ষার্থীরা শেখার আনন্দ হারেবে। শিক্ষা ধ্বংশ হয়ে যাবে। মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়ার আশংকা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেহেতু এআই ইন্টারনেট ঘেটে সমস্যা সমাধান করে সেহেতু সঠিক তথ্যের সাথে ভুল তথ্য মিলে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা থেকেই যাচ্ছে। চাকরী হারানোর ভয়তো আছেই। দেখা যাচ্ছে শত শত মানুষের কাজ এআই নিমেষেই করছে। সুতারাং মালিক পক্ষ বা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান খরচ কমাতে শ্রমিকের বদলে এআই নিয়োগ করবে অন্যদিকে চাকরী হারাবে হাজার হাজার মানুষ।

এআই-র ধারণা আজকের নয় প্রায় অর্ধশত বছর আগের। পর্যাপ্ত প্রযুক্তির অভাবে এতদিন এটি সামনে আসেনি। বর্তমানে এটিকে প্রযুক্তির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেউ কেউ মনে করছেন ভবিষ্যতে এআই যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে।

ভার্চুয়াল সহকারী হিসেবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বেশ শক্তপোক্ত জায়গা দখল করে আছে। মুহূর্তেই যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সহ যেকোনো ভাষায় গান, কবিতা লেখতে সক্ষম এআই ভিত্তিক ভার্চুয়াল সহকারী। আপনার ঘরকে স্মর্ট করতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-র জুড়ি নেই। আপনার বাড়ি, কারখানা বা যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটির দায়িত্ব আপনি নিশ্চিন্তে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সর উপর দিতে পারেন। স্বয়ংচালিত গাড়ী যদিও প্রোপার ভাবে সামনে আসেনি কিন্তু হয়ত খুব তাড়াতাড়ি পুরো বিশ্ব স্বয়ংচালিত গাড়ির দুনিয়ায় প্রবেশ করতে যাচ্ছে।

প্রতেকটি আবিস্কারের ভালো ও খারাপ দুটো দিকই আছে। আমাদের উচিৎ হবে ভালো দিক গুলো গ্রাহণ করা এবং খারাপের পরিমান কমিয়ে আনা। তাহলেই আবিস্কারটি সার্থক হবে।এআই নিয়ে আরো জানতে আমাদের এআই ক্যাটেগরি ঘুরে দেখতে পারেন। আরো বিস্তারিত জানতে ইউকিপিডিয়া

কমেন্ট

Rayhan Ahmed
Rayhan Ahmed

সুন্দর লিখেছেন;

কাওসার মাতুব্বর
কাওসার মাতুব্বর

ধন্যবাদ🥰

কমেন্ট করুন