অনলাইন জুয়া সহ, প্রতারণা ও বিভিন্ন সাইবার অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে অনিবন্ধিত বা অবৈধ স্মার্টফোন। সরকারের পরিকল্পনা হল ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্টার ব্যবস্থা চালের মাধ্যমে অবৈধ স্মার্টফোনগুলোর নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস বন্ধ করে দেওয়া। ডাক, টেলি যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, এনবিআর এবং বিটিসিএল সম্মিলিতভাবে এই ব্যবস্থা চালু করবে বলে জানা গেছে।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা জাতীয় পর্যায়ে এনইআইআর চালু করতে যাচ্ছি। নভেম্বরের পর যেকোনো সময় এটা চালু হয়ে যাবে। এখানে একটা ডেটের আগে সব নাম্বার গ্রে থাকবে। এরপরের নম্বরগুলো ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট হবে।’
প্রতিটি মোবাইলে একটি আইএমইআই নাম্বার থাকে। যার মাধ্যমে নেটওয়ার্কের মধ্যে কোন একটি মোবাইলের অবস্থান চিহ্নিত করা সম্ভব। বাংলাদেশে আইএমইআই নাম্বার পরিবর্তন বা নকল করার প্রবণতা অনেক। গতবছর জুনের দিকে রবির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তারা একটি আইএমইআই নাম্বার দিয়ে দেড় লক্ষাদিক সচল মোবাইল ফোনের সন্ধান পেয়েছে।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মার্কেটে অবৈধ ফোন কেনা বেচা একটি নিত্যনৈমাতৃক ব্যাপার। বাংলাদেশ মোবাইল ইন্ডাস্ট্রির প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ অবৈধ স্মার্টফোনের দখলে। যার জন্য নিয়মিত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশি স্মার্টফোন সংস্থাগুলো। এনইআইআর ব্যবস্থা চালু হলে অবৈধ স্মার্টফোন কেনাবেচা বন্ধ হবে।
দেশে কয়েকবার অবৈধ স্মার্টফোন বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা পূর্ণতা পায়নি। এনইআইআর ব্যবস্থা চালু হলে প্রতারণা সহ সাইবার অপরাধের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে বলে মনে করছে বিটিআরসি।

কমেন্ট করুন