অনলাইন ব্যবসার জন্য ফেসবুক মার্কেটিং

অনলাইন ব্যবসার জন্য ফেসবুক মার্কেটিং

একটা প্রশ্ন দিয়ে আজকের আর্টিকেল শুরু করি, আচ্ছা আপনার আশেপাশে এমন কেউ আছে যে এটলিস্ট ফেসবুক নামটির সাথে পরিচিত না। আই হোপ না। আর যদি থাকে তাহলে আই এম সরি। এবার চলুন অনলাইন ব্যবসার সাথে একটু পরিচিত হই। যদিও আপনারা সবাই কম বেশি অনলাইনে কেনাকাটা করেন তাও, অনলাইন ব্যবসা হলো ব্যবসার এমন এক ধরন, যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

আমাদের দেশে প্রায় সকলেরই ফেসবুক একাউন্ট আছে। আর তাই অনলাইন ব্যবসার জন্য উদ্যোক্তারা বেচে নিচ্ছেন ফেসবুক। অনলাইন ব্যবসার জন্য ফেসবুক মার্কেটিং অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপায়ও বটে। আজ আমরা আলোচনা করব অনলাইন ব্যবসার জন্য ফেসবুক মার্কেটিং গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে।

ফেসবুক মার্কেটিংয়ের এডভান্টেজ

ব্যবসা বৃদ্ধি, ব্রান্ড তৈরী, গ্রহকের আস্থা ও বিশ্বাস সহ নানা কারণে ফেসবুক মার্কেটিং উদ্যোক্তাদের কাছে জনপ্রিয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফেসবুক মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি সহজেই কাস্টমার আকৃষ্ট করতে পারেন।

  • ব্যবসা বৃদ্ধিঃ ফেসবুক মার্কেটিং সঠিক ভাবে করতে পারলে সহজেই ব্যবসা বৃদ্ধি করতে পারবেন। ফেসবুকে ডিসকাউন্ট, প্রমোশন, ক্যাম্পেইন ইত্যাদি চালানোর মাধ্যমে কাস্টমারদের কেনাকাটার জন্য উৎসাহিত করা যায়।
  • ব্র্যান্ড এওয়ারনেসঃ মার্কেটিং জগতের জনপ্রিয় একটি শব্দ হলো ব্রান্ড এওয়ারনেস। ফেসবুক মার্কেটিং আপনার ব্র্যান্ডকে মানুষের মাঝে আরও পরিচিত করে তুলবে।
  • বাজার বিশ্লেষণঃ বাজার বিশ্লেষণে ফেসবুক মার্কেটিং বেশ কার্যকরী। বিভিন্ন এড রান করার মাধ্যমে কাস্টমারদের চাহিদা আশেপাশের পরিবেশ সহ বাজার সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়।
  • আস্থা ও বিশ্বাসঃ মার্কেটিং ভালো ভাবে করতে পারলে ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস তৈরি হবে।
  • কাস্টমার রিএকশনঃ ফেসবুক মার্কেটিংয়ের অন্যতম একটি এডভান্টেজ হলো কাস্টমার আপনার ব্রান্ড বা ব্যবসা সম্পর্কে কি ভাবছে সে সম্পর্কে আপনি সহজেই জানতে পারবেন। এর উপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারবেন।

কিভাবে করবেন?

  • পেজ সেটআপ ও অপ্টিমাইজেশনঃ সুন্দর লোগো, কাভার ফটো, এবং ব্র্যান্ডের সাথে মানানসই ইউজারনেম ব্যবহার করুন। ওয়েবসাইট লিঙ্ক, ঠিকানা, কন্টাক্ট নম্বর, ও বিস্তারিত ব্যবসার তথ্য যোগ করুন।
  • মানসম্মত কন্টেন্টঃ কন্টেন্টে আকর্ষণীয় ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করুন। কন্টেন্টের মাধ্যমে প্রাসঙ্গিক ও দরকারি তথ্য শেয়ার করুন। ফেসবুক লাইভ করে পণ্য দেখান ও কাস্টমারদের প্রশ্নের উত্তর দিন। কাস্টমারদের রিভিউ, ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করুন।
  • ফেসবুক গ্রুপঃ কাস্টমারদের সাথে সরাসরি যোগাযোগের জন্য একটি কমিউনিটি গড়ে তুলুন। নিয়মিত পোস্ট করুন, কাস্টমারদের কমেন্টের উত্তর দিন, ও আলোচনায় অংশ নিন।
  • ফেসবুক অ্যাডসঃ সকলের কাছে পৌঁছানোর জন্য এড রান করুন। বয়স, আগ্রহ, লোকেশন, ও ডিভাইস অনুযায়ী অ্যাড সেট করুন। যেসব ভিজিটর ওয়েবসাইট ভিজিট করেছে বা পূর্বে ইন্টারঅ্যাক্ট করেছে তাদের জন্য কাস্টম অ্যাড চালান।
  • কনসিস্টেন্সি ও বিশ্লেষণঃ প্রতিদিন বা সপ্তাহে কয়েকবার নতুন পোস্ট করুন। কোন কন্টেন্ট ভালো পারফর্ম করছে তা বিশ্লেষণ করুন এবং সেই অনুযায়ী মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি সাজান।
  • কাস্টমারদের সাথে সম্পর্কঃ কাস্টমারদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করুনকাস্টমারদের কমেন্ট ও মেসেজের বন্ধুসুলভ রিপ্লাই দিন। প্রতিযোগিতা, ডিসকাউন্ট, বা ফ্রি গিফট অফার দিন।

ফেসবুক মার্কেটিং সঠিক ভাবে করতে পারলে অনলাইন ব্যবসা দ্রুত বৃদ্ধি ও ভালো পরিমাণ রেভিনিউ জেনারেট করা সম্ভব। নিয়মিত কনটেন্ট পোস্ট, টার্গেটেড বিজ্ঞাপন, এবং ভালো কাস্টমার সাপোর্ট দিলে আপনি দ্রুত সাফল্য পেতে পারেন। চাইলে আমাদের ফ্রিল্যান্সিং ক্যাটেগরি ভিজিট করতে পারেন। এছাড়া ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ে আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন। এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। কথা হবে আবারো অন্য কোন আর্টিকেলে।

কমেন্ট

কাওসার মাতুব্বর

কাওসার মাতুব্বর

খুব সুন্দর লিখছ ভাই

কমেন্ট করুন