ফ্রিল্যান্সিং গাইডলাইন পর্ব-০২ (স্কিল)

ফ্রিল্যান্সিং গাইডলাইন পর্ব-০২ (স্কিল)

ফ্রিল্যান্সিং ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করতে হলে আপনাকে যেকোন একটা বিষয়ে স্কিল্ড হতে হবে। তবেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে সফল হতে পারবেন। তাই আজ আমি এমন ১০ টি জব ক্যাটেগরির কথা বলব যা আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ডেভলপ করতে সাহায্য করবে। এই সিরিজের আগের পর্ব না পড়ে থাকলে ফ্রিল্যান্সিং গাইডলাইন পর্ব-০১ (ব্যাসিক); তো চলুন শুরু করি…

১. ডাটা এন্ট্রি

ফ্রিল্যান্সিং ইন্ডাস্ট্রির পপুলার একটি জব ডাটা এন্ট্রি। তুলনা মূলক অন্য জব গুলো থেকে এটা অনেক সহজ। মোটামুটি টাইপিংয়ে দক্ষতা থাকলেই যে কেউ এই জব করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের শুরুর দিকে ডাটা এন্ট্রি দিয়ে শুরু করতে পারেন। তবে এটা দীর্ঘস্থায়ী কোন জব হতে পারে না। আস্তে আস্তে এর পরিমানও কমে যাচ্ছে।

২. আর্টিকেল রাইটিং

যারা লিখতে পছন্দ করেন তাদের জন্য আর্টিকেল রাইটিং একটি ভালো অপশন। স্ক্রিপ্ট, ব্লগ, এবং বিভিন্ন পত্রপত্রিকাতেও লেখালেখির কাজ পাওয়া যায়। এছাড়াও নিজেই ব্লগ খুলে লেখালেখি করতে পারেন। কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে দক্ষ রাইটারের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে।

৩. ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট

সময়ের সাথে অনেক ব্যবসাই অনলাইনে চলে আসছে এবং তৈরী হচ্ছে অনেক অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা। ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট হিসাবে কাজ করেও ইনকাম করতে পারবেন এইসব প্রতিষ্ঠান থেকে। ইমেইল ম্যানেজমেন্ট, সিডিউইল ম্যানেজমেন্ট, কাস্টমার সাপোর্টের মত কাজ গুলো করতে পারলেই ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট হিসেবে যোগ দিতে পারবেন যেকোন কোম্পানিতে।

৪. ডিজাটাল মার্কেটিং

বর্তমান সময়ে চ্যালেঞ্জিং একটা বিষয় হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। তবে চাইলেই একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে জয়েন করতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং ইন্ডাস্ট্রিতে। এই জব সেক্টরে আপনাকে বেশ কৌশলি হতে হবে। সময়ের সাথে নিজেকে সর্বোচ্চ আপডেট রাখতে হবে। এখানে মূলত সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং, এসইও, গুগল এডস ইত্যাদি নিয়ে কাজ করতে হয়।

৫. গ্রাফিক ডিজাইন

যারা ক্রিয়েটিভ কাজ করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য গ্রাফিক ডিজাইন হতে পারে সেরা চয়েজ। গ্রাফিক ডিজাইনার হতে চাইলে সফটওয়ারের জ্ঞানের থেকেও চিন্তা করার ক্ষমতা বেশি প্রয়োজন। এ সেক্টরে লোগো, ব্যানার সহ বিভিন্ন ডিজাইনের কাজ করতে হয়। বর্তমানে ইউআই/ইউএক্স ডিজাইন বেশ ডিমান্ডেবল একটি সাব সেক্টর।

৬. ভিডিও এডিটিং

কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিডিও এডিটরের চাহিদাও বাড়ছে। তাই ভিডিও এডিটিং হতে পারে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে সেরা পছন্দ। ভিডিও এডিটরের কাজগুলোর মধ্যে ভিডিও কাটিং, ট্রানজিশন, সাউন্ড এডিটিং, এবং ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস গুরুত্বপূর্ণ। এডোবি প্রিমিয়ার, আফটার ইফেক্টস, ফ্লিমোরা ইত্যাদি সফটওয়ার এর উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারলেই আপনি ভিডিও এডিটর হিসেবে যাত্রা শুরু করতে পারবেন।

৭. ওয়েব ডেভলপমেন্ট

ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এবং মেন্টেইনেন্সের কাজ শিখে ওয়েব ডেভেলপার হিসাবে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। এটা তুলনা মূলক কঠিন একটি জব সেক্টর। কাজ শিখতেই অনেক সময় লাগে। তবে বর্তমান সময়ে বেশ ডিমান্ডেবল একটি জব এটি। ফ্রিল্যান্স ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে সফল ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে আপনার কোডিং দক্ষতা, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা এবং বিভিন্ন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরী।

৮. এপ ডেভলপমেন্ট

বাড়ছে মোবাইল ব্যবহারকারীদের সংখ্যা সাথে সাথে এপ ডেভেলপারদের চাহিদাও বাড়ছে। ফ্রিল্যান্স এপ ডেভেলপার হিসেবে যাত্রা শুরু করতে চাইলে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ সহ অনেক টুলের ডিপ জ্ঞান থাকতে হবে। বিভিন্ন অনলাইন রিসোর্স, কমিউনিটি এবং প্রশিক্ষণ সেশন থেকে আপনার দক্ষতা বাড়াতে থাকুন এবং ক্রমাগত শিখতে থাকুন।

৯. প্রোগ্রামিং

প্রোগ্রামিং কোন জব সেক্টর না এটা মূলত ওয়েব বা এপ ডেভেলপমেন্টের কোর। শুধু ওয়েব বা এপ নয় প্রোগ্রামিংয়ের আরো অনেক জব রয়েছে। প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে কোডিং, সমস্যা সমাধান, এবং বিভিন্ন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট টুলের উপর জ্ঞান থাকা দরকার। এছাড়াও গ্রুপে কাজ করা এবং কমিউনিকেশন স্কিলও গুরুত্বপূর্ণ।

১০. এজেন্সি

যদি বিশেষ কোন বিষয়ে দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি একটি ফ্রিল্যান্স এজেন্সি খুলতে পারেন। এজেন্সি খোলার মাধ্যমে আপনি আপনার টিম গড়ে তুলতে পারেন। এজেন্সি পরিচালনার জন্য আপনার ব্যবসায়িক দক্ষতা, নেতৃত্বের ক্ষমতা, এবং মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা দরকার।

এই জব ক্যাটেগরিগুলো থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোন একটি ফিল্ডে দক্ষতা অর্জন করে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে সফল হতে পারবেন। আমাদের ফ্রিল্যান্সিং ক্যাটেগরি দেখার অনুরোধ রইল। আরো জানতে ইউকিপিডিয়া

কমেন্ট

কাওসার মাতুব্বর

কাওসার মাতুব্বর

সুন্দর লিখেছ

Rayhan Ahmed

Rayhan Ahmed

Thank U

কমেন্ট করুন