বাংলাদেশে পেপাল কেন দরকার?

বাংলাদেশে পেপাল কেন দরকার?

পেপাল একজন ফ্রিল্যান্সারের ঠিক কতটা দরকার তা, সে ছাড়া অন্য কেউই বুঝবেনা। ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য একটি মাধ্যম এটি। পেপাল না থাকায় মার্কেটপ্লেসের বাইরে কাজ পেলেও পেমেন্ট নেওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। কিছু ক্ষেত্রে পেমেন্ট পাওয়াই যায় না। কাজ পাওয়ার পসিব্লিটিও অনেকাংশে কমে যায়। পেপাল বাংলাদেশে কেন আসছে না? বাধা কোথায়? এরকম আরো অনেক প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করব আজকের আর্টিকেলে।

বিশ্বের অনেক দেশে পেপাল থাকলেও বাংলাদেশে বেশ কয়েক বছর ধরে চালুর কথা উঠেও কেন জানি তা আলোর মুখ দেখেনি। এতে আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করা ফ্রিল্যান্সাররা বেশ ঝামেলা পোহান। যদিও দেশে পেওনিয়ার, জুম ও ব্যাংক ট্রান্সফার সিস্টেম চালু রয়েছে। তবে এর একটিও পেপালের মতো জনপ্রিয় নয়।

নতুন কোন স্টার্টআপও ইন্টারন্যাশনাল্লি গ্রো করতে পারে না। সব ঠিক থাকলেও পেমেন্ট ম্যাথড নিয়ে সমস্যার শেষ নেই। যদিও অনেক আগে থেকেই আমরা বিপুল পরিমাণ জনশক্তি বিদেশে রপ্তানি করে আসছি। ফ্রিল্যান্সিংয়ের শতকরা ১৪ ভাগই বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের দখলে। সেখানে বিষয়টি বেশ অদ্ভুতই মনে হতেই পারে। তবে এটাই বাস্তব।

শুধু পেমেন্ট গ্রহণ নয় দেশের বাইরে থেকে কোন পন্য বা সেবা কিনতে গেলেও দরকার পরে পাসপোর্ট, থার্ডপার্টি কোন ওয়েবসাইট বা অন্য কিছুর। একটি ডোমেইন বা হোস্টিং কিনতেও নির্ভর করতে হচ্ছে অন্য কারো উপর। এছাড়া পেপালের তুলনায় অন্য পেমেন্ট পদ্ধতিতে সাধারণত ট্রানজেকশন ফি বেশি।

বাংলাদেশে পেপাল ​চালুর বিষইয়ে অনিশ্চিতা কবে কাটবে সে ব্যপারে কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা নেই।  ফ্রিল্যান্সার ও ডিজিটাল উদ্যোক্তারা বিষয়টি নিয়ে বরাবরের মতই হতাশ।

পেপাল চালু হলে শুধু ফ্রিল্যান্সাররাই উপকৃত হবেন না। পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বারবার চেষ্টার পরেও কেন পেপাল চালু হচ্ছে না বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। না হলে বাংলাদেশ থেকে টেক জায়ান্ট কোম্পানি আশা করা যায় না। চাইলে আমাদের প্রযুক্তি ক্যাটেগরি থেকে ঘুরে আসতে পারেন।

কমেন্ট করুন