আসসালামু আলাইকুম, আসাকরি ভালো আছেন। আজ আমরা কথা বলব সম্ভাবনাময় সেমিকন্ডাকটর ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে। আলোচনা শুরুতে আমাদের জেনে নিতে হবে সেমিকন্ডাক্টর কি? যে সকল পদার্থ পরিবাহী এবং অপরিবাহী এর মাঝামাঝি অবস্থান করে এবং তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে বিদ্যুৎ পরিবহন করে তাদেরকে সেমিকন্ডাক্টর বলে। একাডেমীক এই সংজ্ঞা থেকে আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে আপনার হাতে যে মোবাইল বা কাছে যে কম্পিউটারটি রয়েছে সেটার মূল চালিকা শক্তিই হল সেমিকন্ডাক্টর। শুধু মোবাইল বা কম্পিউটারই না সমস্থ ইলেক্ট্রিক ডিভাইসেই সেমিকন্ডাক্টর উপস্থিত। এটি মূলত ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করে।
সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রির গুরুত্বঃ
ইলেকট্রনিক্সঃ সেমিকন্ডাক্টর ছাড়া ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন কম্পিউটার, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ইত্যাদি কল্পনা করা সম্ভব নয়। মাইক্রোচিপ, ট্রানজিস্টর এবং আইসি তৈরিতে এটি ব্যবহার করা হয়।
ইন্টারনেট অফ থিংসঃ সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি IoT ডিভাইস এবং সিস্টেমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। IoT ডিভাইসগুলি একে অপরের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে এবং ডেটা আদান-প্রদান করতে সেমিকন্ডাক্টর ভিত্তিক সেন্সর এবং প্রসেসর ব্যবহার করে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাঃ AI সিস্টেমের অ্যালগরিদমগুলি প্রসেস করার জন্য বিশেষায়িত এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেসর প্রয়োজন যা সেমিকন্ডাক্টর ছাড়া অসম্ভব। আমাদের এআই ক্যাটেগরি
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাঃ
ন্যানো চিপসঃ এই ইন্ডাস্ট্রি ক্রমাগত ছোট থেকে আরো ছোট ও শক্তিশালী চিপ তৈরির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ৫ ন্যানোমিটার থেকে ৩ ন্যানোমিটার এবং পরবর্তী সময়ে ২ ন্যানোমিটার প্রযুক্তিতে চিপ তৈরির দিকে এগোচ্ছে কোম্পানিগুলো।
নিউরোমর্ফিক চিপসঃ মানব মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার অনুকরণে ডিজাইন করা নিউরোমর্ফিক চিপস আরও উন্নত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে অনেক কোম্পানি যা ভবিষ্যতে এই ইন্ডাস্ট্রিকে নিয়ে যাবে অন্য উচ্চতায়।
বাংলাদেশের অবস্থানঃ
বর্তমানে দেশে উল্কাসেমি, প্রাইম সিলিকন, নিউরাল সেমি, টেটোন ইলেকট্রনিক্স সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। যুক্ত হচ্ছে ওয়ালটন ও এসিআই-এর মতো বড় কোম্পানিগুলো। গ্লোবাল মার্কেটে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সম্ভাবনাময়ী ইন্ডাস্ট্রি এটি। ইতোমধ্যেই এই ইন্ডাস্ট্রি প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এই সম্ভাবনাময় ইন্ডাস্ট্রি থেকে বাংলাদেশের আয় বাড়াতে প্রয়োজন সারকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ, সরকারের নীতিসহায়তা ও দক্ষ মানবসম্পদ।
সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি ভবিষ্যত পৃথিবীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধুমাত্র ইলেকট্রনিক্স এবং কম্পিউটিং এর ক্ষেত্রেই নয়, বরং অটোমেশন, স্বাস্থ্যসেবা এবং টেলিযোগাযোগের মতো ক্ষেত্রগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
কমেন্ট
Rayhan Ahmed
খুবই সম্ভাবনাময় একটি ইন্ডাস্ট্রি। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও এই ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো করবে। অনেক জব ফিল্ড তৈরি হবে।
কমেন্ট করুন