ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কেন শিখবেন?

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কেন শিখবেন?

ব্যবসা বা অর্গানাইজেশন, কোম্পানি বা পার্সোনাল ব্রান্ডিং সকল ক্ষেত্রেই ওয়েবসাইটের গুরুত্ব অপরিসীম। দিন দিন ওয়েবসাইটের চাহিদা যেমন বাড়ছে তার সাথে দক্ষ ওয়েব ডেভলপারের চাহিদাও বাড়ছে। কিছু আগেও তরুনদের মধ্যে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে দারুন আগ্রহ লক্ষ করা যেত। তবে সব থেকে বড় বিপত্তি তখন বাধে যখন এআই ভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি আত্মপ্রকাশ করে। অনেকেই বলছেন ডেভলপারদের ভবিষ্যত শেষ বা ভবিষ্যতে ডেভলপারদের দরকারই পরবে না। এখন আমার ব্যক্তিগত একটা প্রশ্ন হচ্ছে এই যে চ্যাটজিপিটি বা ডিপশেক যাই আসুক সে গুলো কোন মাধ্যমে মার্কেটে আসছে? নিশ্চই কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। আর তাই অন্য জব রিপ্লেস হোক বা না হোক। ওয়েব ডেভলপারের রিপ্লেস শুধু মাত্র ওয়েব ডেভলপার দ্বারাই সম্ভব।

এবার আপনাকে একটা কাজ করতে হবে, আপনার আশেপাশে এমন কাউকে খুজে বের করেন যে এটলিস্ট অনার্স পাস। এরপর তাকে নির্দিস্ট কিছু রিকোয়ারমেন্ট দিয়ে চ্যাটজিপিটি বা ডিপশেকের সাহায্যে একটা ওয়েবসাইট বানাতে বলেন। দেখেন সে কি রিপ্লাই দেয়। এরপরই এআই দিয়ে ডেভেলপারদের রিপ্লসের কথা বলবেন।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কী?

যাই হোক, চলুন এবার ওয়েব ডেভেলপমেন্টের সাথে পরিচিত হই। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হল একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি, ডিজাইন, এবং পরিচালনা করা হয়। এটি মূলত দুটি প্রধান অংশে বিভক্তঃ

ব্যাকএন্ড ডেভেলপমেন্টঃ এ অংশে সার্ভার সাইড এবং ডাটাবেস ম্যানেজ করা হয়। এ অংশে ব্যাকএন্ড ডেভেলপমেন্টে PHP, Python, Node.js, ইত্যাদি ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহৃত হয়।

ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপমেন্টঃ এ অংশ ব্যবহারকারীরা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে যা দেখতে পান (অর্থাৎ ইউজার ইন্টারফেস) তা নিয়ে কাজ করা হয়। HTML, CSS, এবং JavaScript-এর মাধ্যমে ফ্রন্টএন্ড তৈরি করা হয়।

এছাড়াও, উভয় অংশকে একত্রে ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপমেন্ট বলা হয়। ফুল-স্ট্যাক ডেভলপাররা ফ্রন্টএন্ড এবং ব্যাকএন্ড ডেভেলপমেন্টে দক্ষ হয়ে থাকেন।

আরও পড়ুনঃ

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কেন শিখবেন?

এখন আজকের আর্টিকেলের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কেন শিখবেন?

  • ক্যারিয়ারঃ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট একটি চাহিদাসম্পন্ন পেশা। ছোট-বড় সব কোম্পানিই দক্ষ ডেভেলপারদের খুঁজছে। এসব কোম্পানি মূলত নিজেদের ওয়েবসাইট মেন্টেনেন্সের জন্য ওয়েব ডেভলপারদের হায়ার করে থাকে। গ্লোবাল আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য বিশাল সুযোগ রয়েছে।
  • ফ্রিল্যান্সিং ও রিমোট জবঃ আপনি যদি অফিসে কাজ করতে না চান, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং বা রিমোট জবের মাধ্যমে ঘরে বসেই আর্ন করতে পারেন। জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেমন Upwork, Fiverr, Freelancer ইত্যাদিতে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
  • ব্যবসা ও স্টার্টআপঃ ওয়েবসাইট ছাড়া আজকের যুগে ব্যবসা কল্পনা করা যায় না। চাইলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি খুলে স্টার্টআপ শুরু করতে পারেন।
  • প্যাসিভ ইনকামঃ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার মাধ্যমে আপনি প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। ThemeForest, TemplateMonster ইত্যাদিতে ওয়েব টেমপ্লেট, প্লাগিন বা সফটওয়্যার বিক্রি করে ইনকাম করা যায়।
  • সৃজনশীলতা ও সমস্যা সমাধানঃ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখলে আপনার লজিক্যাল থিংকিং, প্রবলেম সলভিং স্কিল, এবং সৃজনশীলতা অনেক বৃদ্ধি পাবে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শুধু একটি স্কিল নয়, এটি ভবিষ্যতের জন্য বিশাল এক সুযোগ। আপনি যদি চাকরিজীবী, ছাত্র, বা উদ্যোক্তা হন, তাহলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট আপনার জন্য আশির্বাদ হতে পারে। এটি আপনাকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেবে এবং ক্যারিয়ার গঠনে সাহায্য করবে। আজই শেখা শুরু করুন এবং আপনার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করুন!

কমেন্ট করুন