এআই বিপ্লবের ফলে বেশ কিছু কর্মক্ষেত্র এর দ্বারা রিপ্লেস হয়ে গেছে। কিছু কিছু চাকরির ক্ষেত্রে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই প্রযুক্তি। তবে এমন অনেক পেশা বা কর্মক্ষেত্র রয়েছে যা এআই কখনো রিপ্লেস করতে পারবে না বা করতে অনেক সময় লাগবে। এখানে এমনই কিছু পেশা নিয়ে আলোচনা করা হলো।
১. সৃজনশীল
সৃজনশীল যেমন লেখালেখি, আঁকাআঁকি, ডিজাইন, অভিনয় ইত্যাদি পেশা গুলো এআইর জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং। এআই হয়তো কখনোই এই পেশা গুলোকে রিপ্লেস করতে পারবে না বা অনেক সময় লেগে যাবে। এমন নয় যে এআই এই কাজ গুলো করে না। তবে এআই যেই কাজ গুলো করে সেগুলো সৃজনশীল নয়। রিলেটেড কয়েকটি কাজের উপর ভিত্তি করে নতুন একটি কাজ করে দেয়। যেখানে নতুন কিছু নেই। এআই পুরোনো বিষয় গুলোকে অন্যভাবে উপাস্থাপন করার চেষ্টা করে মাত্র।
এআই সাধারনত লেখালেখি করতে পারে। তবে তা সংবাদ প্রতিবেদন বা সাধারণ তথ্যভিত্তিক লেখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। উপন্যাস, কবিতা, বা নাটক রচনার ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি এখনও অনেক পিছিয়ে। নতুন কিছু লিখতে গেলে দরকার অভিজ্ঞতা, অনুভুতি ও দর্শন। এআই শুধু মাত্র একটি প্রযুক্তি যার না আছে অভিজ্ঞতা না আছে অনুভুতি, দর্শন না হয় বাদই দিলাম।
শিল্পীর অন্তর্দৃষ্টি, অনুপ্রেরণা, আবেগে, অনুভূতি ইত্যাদি কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি করা অত্যন্ত কঠিন। প্রতিটি শিল্পকর্মের পিছনে থাকে একটি অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি এবং আবেগ যা শুধুমাত্র একজন শিল্পী তৈরি করতে পারে কোন প্রযুক্তি নয়।
২. কন্সালটেন্সি
কন্সালটেন্সি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে মানুষের বাস্তব অভিজ্ঞতা, বিশ্লেষণ ক্ষমতা, এবং ব্যক্তিগত যোগাযোগ অপরিহার্য। এআই এই ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে তবে মানুষের মত পরামর্শ দেওয়া, সমস্যার সমাধান করা এর জন্য অত্যন্ত কঠিন বা অসম্ভব। এই প্রযুক্তি অনেক তথ্য দিতে পারে, বিশ্লেষণও করতে পারে তবে সেটা ভিজুয়ালি। এটার বাস্তব প্রয়োগ শুধু মাত্র রক্তে মাংসে গড়া মানুষই পারে।
বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান কন্সাটেন্ট নিয়োগ দিয়ে থাকেন। তাদের কাজ হলো জটিল সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করে ক্লাইন্টদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা। এর জন্য শুধু তথ্য বিশ্লেষণ নয়, বরং ব্যবসার গভীরতা, বাজারের চাহিদা, এবং ক্লাইন্টদের মিথস্ক্রিয়ার প্রয়োজন। এআই এখানে তথ্য প্রদান করে সাহায্য করতে পারে, কিন্তু সমস্যা সমাধান করার ক্ষেত্রে মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তা প্রদর্শন করতে পারে না।
স্বাস্থ্য কন্সালটেন্টরা সুস্থ থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সেটা নির্ভর করে আপনার সমস্যার উপর। এক সমস্যা শেষ করতে গিয়ে আরেক সমস্যা শুরু না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হয়। আবার আইনি পরামর্শ এবং বিচারব্যবস্থায় কাজ করার জন্য কেবল আইন জানা নয়, বরং সামাজিক ও নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানুষের অবস্থান বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এভাবেই প্রতেকটি কন্সাটেন্সিকে প্রতেকের ব্যপারে আলাদা আলাদা সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যা এআইর জন্য অত্যন্ত কঠিন এবং প্রায় অসম্ভব।
৩. কারিগরী
ইলেকট্রনিক্স, প্লাম্বিং, ওয়েল্ডিং ইত্যাদি পেশাও এআইর জন্য বেশ কঠিন। এই পেশা গুলোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত কঠিন পরিবেশে দক্ষতার সাথে জটিল সব সমস্যার সমাধান করতে হয়। এই চাকুরী গুলো আপাতত মানুষের আওতাই থাকবে তার মানে এই নয় যে এখানে এআই প্রভাব থাকবে না।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ্য থাকবেন। কথা হবে পরবর্তি কোন আর্টিকেলে। চাইলে আমাদের এআই ক্যাটেগরি ঘুরে দেখতে পারেন। আরো বিস্তারিত জানতে উইকিপিডিয়া। ধন্যবাদ
কমেন্ট
Rayhan Ahmed
সুন্দর লিখেছেন ভাই। আরো কয়েকটা পয়েন্ট বাড়ানো যেত। আফটার অল ধন্যবাদ
কাওসার মাতুব্বর
Welcome
কমেন্ট করুন