ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ কোনটি নিবেন?

ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ কোনটি নিবেন?

বর্তমান পৃথিবীর সাথে তাল মিলাতে কম্পিউটার আমাদের জীবনের এক অপরিহার্য অংশে পরিণত হয়েছে। অফিস, পড়াশোনা, বিনোদোন সহ সকল ক্ষেত্রে বাড়ছে এর চাহিদা। কম্পিউটার কেনার ক্ষেত্রে প্রতেক গ্রাহকের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো কোনটি কিনবো ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ? আজকের আর্টিকেলে আমরা জানার চেষ্টা করব কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত হবে।

ল্যাপটপঃ

ল্যাপটপের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর পোর্টেবিলিটি। আপনি যদি নিয়মিত কাজের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করেন বা ভ্রমণের সময় কাজ করার প্রয়োজন হয়, তাহলে ল্যাপটপ নিঃসন্দেহে আপনার জন্য উপযুক্ত হবে। ল্যাপটপের হালকা ও পাতলা ডিজাইনের কারণে এটিকে সহজেই ব্যাগে বা হাতে নিয়ে চলাফেরা করা যায়। শিক্ষার্থী, ফ্রিল্যান্সার, এবং যারা অফিসের বাইরের কাজ করেন , তাদের জন্য ল্যাপটপ বেশ কার্যকর।

ল্যাপটপের আরেকটি সুবিধা হলো এর ব্যাটারি লাইফ। ডেস্কটপে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলে কাজ থেমে যায়, কিন্তু ল্যাপটপের ব্যাটারির মাধ্যমে কিছু সময় ধরে কাজ চালিয়ে যাওয়া যায়, যা বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ সময়ের কাজে সাহায্য করে। যদিও ব্যাটারির ক্ষমতা ব্র্যান্ড ও মডেলের উপর নির্ভর করে, ল্যাপটপের ব্যাটারি সাধারণত ৩ থেকে ৭ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারে।

ল্যাপটপ সাধারণত কম জায়গা নেয় এবং এতে তারের ঝামেলাও কম থাকে। ডেস্কটপের মতো কিবোর্ড, মাউস এবং মনিটরের আলাদা সেটআপের দরকার নেই। তবে একটি ভালো মানের ল্যাপটপের দাম অনেক বেশি হয়, যদি এটি দিয়ে গেমিং, ভিডিও এডিটিং, বা গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর মতো হেভি কাজে করতে চান।

ডেস্কটপঃ

ডেস্কটপ সাধারণত বেশি পারফর্মেন্সের জন্য ইউজ করা হয়, বিশেষ করে একই দামের ল্যাপটপের তুলনায় ডেক্সটপ গেমিং, ৩ডি মডেলিং, ভিডিও এডিটিং বা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর মত ভারি কাজ ল্যাপটপের চেয়ে দ্রুত ও সহজে করতে পারে। কারণ ডেস্কটপের হার্ডওয়্যার বড় এবং অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন হওয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে হেভি কাজ করার ক্ষমতা রাখে। ডেস্কটপে বড় সাইজের প্রসেসর, গ্রাফিক্স কার্ড এবং অন্যান্য হার্ডওয়্যার স্থাপন করা যায়, যা ল্যাপটপে সাধারণত সম্ভব নয়।

ডেস্কটপের আরেকটি সুবিধা হলো এর আপগ্রেড ক্ষমতা। ল্যাপটপের তুলনায় ডেস্কটপ সহজেই আপগ্রেড করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, ডেস্কটপের র‍্যাম, হার্ডড্রাইভ, গ্রাফিক্স কার্ড বা প্রসেসর সহজেই পরিবর্তন ও আপগ্রেড করা যায়, যা ল্যাপটপে খুবই সীমিত বা কঠিন। এটি ইউজারদের জন্য বেশি লাভজনক হতে পারে।

ডেস্কটপের একটি বড় সুবিধা হলো এর মূল্য। সাধারণত, একই স্পেসিফিকেশনের ডেস্কটপ ল্যাপটপের চেয়ে সস্তা হয়। যারা শক্তিশালী কম্পিউটার চাচ্ছেন কিন্তু বাজেট সীমিত, তাদের জন্য ডেস্কটপ একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। বিশেষ করে যদি ডেস্কটপ নিজে কাস্টম বিল্ড করেন, তাহলে একই বাজেটে আপনি আরও ভালো কনফিগারেশন পাবেন।

ডেস্কটপে আপনি বড় সাইজের মনিটর, কীবোর্ড, মাউস ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন যা দীর্ঘ সময় কাজের জন্য আরামদায়ক। যদিও ডেস্কটপ স্থির অবস্থায় ব্যবহার করতে হয় এবং এটি পোর্টেবল নয়, কিন্তু যারা অধিক শক্তিশালী ও কাস্টমাইজেবল কম্পিউটার চান তাদের জন্য ডেস্কটপ ভালো হবে ।

পরিশেষেঃ

ল্যাপটপ নাকি ডেস্কটপ কোনটি কিনবেন, তা আপনার প্রয়োজন এবং কাজের ধরন উপর নির্ভর করে। তেমন কোন ভারি কাজ করার প্রয়োজন না হয় তাহলে আপনি ল্যাপটপ নিতে পারেন বাট যদি আপনি গেমিং, ভিডিও এডিটিং বা ডেভলপমেন্টের মত ভারি কাজ করতে হয় তাহলে আপনার জন্য ডেক্সটপ ভালো হবে। ভালো লাগলে ফেসবুকে আমাদের লাইক করতে পারেন। ঘুরে দেখতে পারেন আমাদের প্রযুক্তি ক্যাটেগরি।

কমেন্ট

Anika Akter

Anika Akter

ভাইয়া অনেক সুন্দর লিখেছেন

কাওসার মাতুব্বর

কাওসার মাতুব্বর

Thank you

কমেন্ট করুন